কুষ্টিয়া থেকে: কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ)জাতীয় যুব জোটের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বুধবার(৯ আগস্ট)দুপুরে দলটির সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাহজামাল পিন্টু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শোভনকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুব জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুল কবির এক যৌথ বিবৃতিতে মোস্তাফিজুর রহমান শোভনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় যুবজোটের ক্রীড়া সম্পাদক ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। এর আগেও এই নেতার বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল, চাঁদাবাজি থেকে হেন অপকর্ম নেই যা তিনি করেন না। এই নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের কথা চালাচালি হলেও তাকে অব্যাহতি-পত্র দেওয়া হয়নি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি হওয়ায় দলের পদ হারালেন শোভন।
তাকে অব্যাহতি-পত্র দেয়া নিয়ে জেলা-জুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনাও। এই নিয়ে নানান গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৪ আগস্ট ) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সঞ্জয়কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে মৃত্যুবরণ করেন। এ-ঘটনায় সঞ্জয়ের স্ত্রী বিথী রানী বাদী হয়ে জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে হামলার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কুষ্টিয়া- দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নেতাকর্মীরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মন্দিরের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভেড়ামারা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় প্রামাণিকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ দেয়া হয়। এছাড়া তার পায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করারও অভিযোগ ওঠে। হামলায় সঞ্জয়ের সঙ্গে থাকা বেলাল ও শ্যামল নামে আরও দুই স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় শোভনকে ওই দিন রাতেই আটক করে পুলিশ।
এ-ঘটনায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাসদ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটতে পারে প্রাণহানির ঘটনাও। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে উপজেলা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।